স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের বহুল কাঙ্ক্ষিত সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারী। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পরই শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে লবিং শুরু করেছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীরা। নিজেদের প্রার্থীরা জানান দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচারণা শুরু করেছেন অনেকে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিচ্ছেন নানা পদক্ষেপ। সম্মেলন কে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উচ্ছাস। জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে ত্যাগী ও কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি তৃনমূল নেতাকর্মীদের। পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্যকারীদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটিতে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করলে দল সংগঠিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার কে শক্তিশালী করতে শক্তিশালী নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। যারা অতীতে দলের দুর্দিনে রাজপথে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস কে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। শংকর চন্দ্র দাস দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। ছাত্রজীবনে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, কৃষকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমানে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানান, শংকর চন্দ্র দাসের সাথে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিপদে-আপদে শংকর চন্দ্র দাস কে পাশে পেয়ে থাকেন। দলীয় সকল কর্মকান্ডে তার উপস্থিতি লক্ষনীয়। স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে শংকর চন্দ্র দাস অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। গত করোনায় অসংখ্য মানুষ সহায়তা করেছেন তিনি। এছাড়া দলীয় সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে তার। শংকর চন্দ্র দাস কে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হলে জেলা আওয়ামীলীগ আরো সুসংগঠিত হবে। অতীতের মত দল কে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার মিশন বাস্তবায়নে কাজ করবেন তিনি।
এব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে বিভিন্ন সময় হামলা মামলার শিকার হতে হয়েছে। তবুও পিছপা হয় নি। শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। দলীয় সকল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে কাজ করার সুযোগ দেন আমি দলের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জেলা আওয়ামীলীগ কে নবীন প্রবীণদের সমন্বয়ে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।