রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বাংলা সাহিত্য পরিষদ ইউকের নতুন কমিটি ঘোষণা। শিলাবৃষ্টিতে দোয়ারাবাজারে শতাধিক ঘর বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত।ছাতকে আশ্রয়ন প্রকল্প পুকুরের লক্ষ টাকার মাছ আত্মসাৎ।সুনামগঞ্জ নিরাপদ সড়ক চাই নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা। ছাতকে বালু সমিতির নেতৃত্বে সাত্তার-দিলোয়ার।ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০২৪ সম্পন্ন।সুনামগঞ্জে রিক্সা চালক ও হতদরিদ্রদের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ।সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা ওয়াকিফুর রহমান আর নেই-!!ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য হুমকি। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার জুয়ার উঠেছে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের

নেংটা ফকিরের মাজার দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব, এক পক্ষের সংবাদ সম্মেলন

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

মহি উদ্দিন আরিফ ধর্মপাশা প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে নেংটা ফকিরের মাজার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দু’পক্ষের মধ্যে মারমুখী অবস্থা বিরাজ করছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনার পাশাপাশি দু’পক্ষের মধ্যে যে কোনো সময় সংঘর্ষের ঘটতে পারে। মাস দুয়েক ধরে মাজারে এমন বিবদমান অবস্থা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে মাজারের মোতুয়ালী (মাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি) দাবিদার বাবুল মিয়া শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাঁর মা প্রয়াত দুলামান্নেছা ওরফে আছিয়া খাতুন ১৯৭৩ সালে আতকাপাড়া গ্রামে ৩৫ শতাংশ জায়গা কিনেন। এর পরের বছর নেংটা ফকিরের মাজারের জন্য সেই জমি ওয়াফক করে দেন এবং তিনি (আছিয়া) মোতুয়ালী নিযুক্ত হয়ে মাজার পরিচালনা করেন। মায়ের মৃত্যুর পর বাবুল মিয়া মোতুয়ালীর জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে বাবুল মিয়াকে তিন বছরের জন্য মোতুয়ালী নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু বাবুল মিয়ার প্রতিপক্ষ মৃত লিলু মিয়ার ছয় ছেলে শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, রাব্বিকুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম মাসদুয়েক ধরে মাজার পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এবং মাজারের বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে। লিলু মিয়া বাবুলের আপন বড় ভাই। অভিযুক্তদের দাবি তাদের বাবা লিলু মিয়া ওয়াফক অনুযায়ী মোতুয়ালী ছিলেন। তাই তাদের বাবার অবর্তমানে মাজার পরিচালনার চেষ্টা করছেন তারা। এ নিয়ে উভয়পক্ষ মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। ওয়াকফ মতে আমার দাদীর বড় ছেলে মানে আবার বাবা মুতুয়ালীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার কথা। আর আমার বাবার অবর্তমানে তাঁর (বাবা) বড় সন্তান এ দায়িত্ব পাবেন। কিন্তু আমার চাচা বাবুল মিয়া অবৈধভাবে মোতুয়ালি দায়িত্ব পালন করছেন।’
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘মাজারের বিবাদমান দ্বন্দ্ব নিরসনে ধর্মপাশা থানার ওসিসহ উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে দ্রুত শুনানী করা হবে।’

#মহি উদ্দিন আরিফ

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281