রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০২৪ সম্পন্ন।সুনামগঞ্জে রিক্সা চালক ও হতদরিদ্রদের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ।সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা ওয়াকিফুর রহমান আর নেই-!!ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য হুমকি। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার জুয়ার উঠেছে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকেরআবারও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে চান এড. আবুল হোসেন ১১ বছর স্বাস্থ্য সহকারী পদে কাজ করেও স্বাস্থ্য সহকারী হতে পারেননি ২১ জন যুবক।তীব্র তাপদাহ: ঘাম, প্রখর রোদ উপেক্ষা করেও ফসলের মাঠে কৃষকর কৃষাণী।জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।সুনামগঞ্জে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবীতে কর্মসূচী। 

নীলফামারীতে ধর্ষন ও নির্যাতনের অভিযোগ

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১
  • ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীতে ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা করায় বিবাদীর হুমকিতে ঘরের কোণে গৃহবধূ রুনা আক্তার (ছদ্দনাম) ও তার পরিবার। সংসার জীবনে ১৩ বছরের মেয়ে এবং ১০ বছর বয়সের ছেলের সাথেও যোগাযোগ হচ্ছে না তার। সন্তানের একটু মুখ দেখতে মরিয়া হয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে জেলা সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি এলাকায়। ২০০৫ সালের ৮ জুলাই ওই এলাকার মোজাম্মেল মুন্সির প্রথম ছেলে মনিরুজ্জামান মিঠুর সাথে রুনা আক্তারের (ছদ্দনাম) বিয়ে হয়। স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় দেবর সুমন ইসলাম বিভিন্ন বার কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। রাজি না হওয়ায় শ্বশুর, শাশুড়ি এমনকি স্বামীকে দিয়েও নানা অছিলায় নির্যাতন শুরু করে সুমন।

আকাশকুড়ি এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, সুমন শহরে ওষুধের দোকান করে লাখ লাখ টাকার মালিক হইছে। সে প্রায়ই গ্রামের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। তার ভাবির সাথে কি হইছে তা বলতে পারি না। তবে ছেলেটির আগেও কয়েকবার মেয়ে কেলেঙ্কারীর ঘটনা ছিলো।

সুমনের বাবার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে পারবো না। যা হবে আইন আদালতে হবে।
এবিষয়ে রুনা আক্তার (ছদ্দনাম) বলেন, ‘চলতি বছরের ২১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘরে একা পেয়ে সুমন আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি শ্বশুর, শ্বাশুড়িকে জানালে ঘরে আটকে রেখে আমাকে নির্যাতন শুরু করে। পরে প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে থাকে ‘সুস্থ হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করায় আসামি সুমন এবং তার লোকজন আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। হুমকির কারণে আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছিনা।

গৃহবধূর বাবা মো. ফারুক হোসেন বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে মেয়েটি আমার বাড়ীতে অবস্থান করছে। ওষুধ ব্যবসায়ী সুমন টাকার জোরে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে মামলা প্রত্যাহারের চাপ সৃষ্টি করছে।ভয়ে এবং আতঙ্কে আছি আমরা। তাই মেয়ের জীবণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি নির্যাতনকারীদের উপর্যুক্ত শাস্তি কামনা করছি।

ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন ইসলাম বলেন, মেয়ের পরিবার আদালতে মামলা দিয়েছে। আমি আদালতে কথা বলবো।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281