কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
আমরা প্রতিনিয়ত প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া, গণমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখতে পাই ধর্ষণ,পরকীয়া প্রেমের পাঠার বলি হতে হয় অনেককে। ঠিক তেমনই আজ থেকে ৯ মাস আগে কুষ্টিয়া ইবি থানা মনোহরদিয়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের বিদেশ ফেরত বজলু লস্কর(৪২) উক্ত এলাকার গরীব ও নিরীহ ব্যক্তি মিলনের ১৪ বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিল। আজ তার গর্ভে ৯ মাসের বাচ্চা। তার এখন বাচ্চা প্রসবের সময় এসে গেছে। ঠিক এই মুহূর্তে সবকিছু এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
ঠিক এই সুযোগটি কাজে লাগালেন বলরামপুর ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম। তিনি বজলু লস্কর ও মিলনকে সন্ধ্যার পর বিত্তিপাড়া বাজারের একটি গোপন স্থানে বসে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। এর মধ্যেই বিদেশ ফেরত ফজলু লস্কর এর নিকট থেকে শামীম মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে শামীম’এর কাছের একজন ব্যক্তি অভিযোগ করেছে। এছাড়াও উক্ত এলাকার বাসিন্দা ও তার নিকটস্থ ওই ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন, শামীম দায়িত্ব নিয়েছে যে, আগামীকাল সোমবার কোর্টে গিয়ে দুজনকে বিয়ে দিবে মর্মে যে, ৩ লক্ষ টাকার দেনমোহর করবে ২ লক্ষ টাকা নগদ প্রদান করবে এবং ছয় কাঠা জমি লিখে দিবে মিলনের মেয়ের নামে। কারণ বজলুর লস্কর বর্তমানে অনেক অর্থবিত্তের মালিক সে ক্ষেত্রে তার পক্ষে টাকা ছাড়া অসম্ভব কিছু নয়। এছাড়াও বজলু মেম্বারের ঘরে স্ত্রী ও সন্তানাদি রয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে কিভাবে একটি ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন এটা এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না। এলাকাবাসী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম এর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শামীমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমি বিষয়টি শুনেছি তবে এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি এখন মনোহরদিয়া পুলিশ ক্যাম্পে বসে আছি। তখন রাত বাজে ৯:৩৪ মিনিট। তিনি এটাও বলেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট আমি এ বিষয়ে কোনো প্রকার অবগত নই।
অন্যদিকে রাত ৯:৫৪ মিনিটের সময় মনোহরদিয়া ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই কামরানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমিও শুনেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত মেয়ের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযোগ আমার কাছে আসে নাই বিধায় আমি কোন প্রকার পদক্ষেপ নিতে পারছিনা। কেন অভিযোগ আসে নাই সেটা আপনিও জানেন আমিও জানি কারণ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলীয়ভাবে মেয়ের পরিবারের উপর একটি প্রেসার গিয়েছে বলে আমি ধারণা করছি। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শামীম আপনার কাছে ৯:৩৪ মিনিটের সময় আপনার কাছে ছিল কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, না শামীম আমার কাছে আজকে আসে নাই।
অপরদিকে রাত ১০:৪২ মিনিটের সময় মনোহরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমিও এবিষয়টি জানি এবং বিবাহের বিষয়টাও কিছুটা জানি যে তারা আগামীকাল বিয়ে করবে। জন্ম সনদ প্রদানের বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন আমি একটি নাবালিকা মেয়েকে বয়স বাড়িয়ে জন্ম সনদ দিতে পারব না। কারণ এখানে আইনগত জটিলতা রয়েছে, তাছাড়াও আমি সব সময় স্বচ্ছ ও পরিষ্কার থাকতে চাই এ ধরনের দুর্নীতি করে কোন প্রকার জন্ম নিবন্ধন আমি প্রদান করি না।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান