শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীতে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপ কাটা রোগীর চিকিৎসা নেই ভোগান্তিতে রোগীরা

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

 

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে উপজেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপ কাটা রোগীর চিকিৎসা নেই। সাপ কাটলে সেই রোগীকে নিয়ে যেতে হয় ওঝাঁর কাছে। অনেকে আবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রগুলোয় ছুটোছুটি করেন, কিন্তু সরকারী হাসপাতালে সাপ কাটা রোগীর ইনজেকশন না থাকায় অনেক রোগী চিকিৎসার অভাবে মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসা না থাকায় জীবন বাঁচানোর জন্য অনেকে গ্রামগঞ্জের ওঝাঁর কাছে ছুটে যান,ওঝাঁর কাছে ঝাড়ফোক করেও অনেকে মারা যায়। ভোগান্তিতে রয়েছে সাপ কাটা রোগীরা।

নীলফামারীর ছয় উপজেলার মধ্যে দুইটি হাসপাতাল রয়েছে। সদরের ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও সৈয়দপুরের ১০০ শয্যা হাসপাতাল। আর চার উপজেলায় রয়েছে চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র। সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মেজবাহুল হাসান চৌধুরী বলেন, নীলফামারী সদর হাসপাতালে দেড় মাস থেকে সাপ কাটা রোগীর চিকিৎসা হয়। দেড়মাস পূর্বে সাপ কাটা রোগীর কোন চিকিৎসা হতো না। সাপকাটা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেই চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হতো রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালে দুইজন রোগীর এন্টিভেনাম ইনজেকশন মজুদ রাখা হয়েছে। এদিকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: নবীউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই হাসপাতালে সাপ কাটা রোগীর কোন চিকিৎসা হয়না। সাপকাটা রোগী আসলে আমরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।

জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র প:প: কর্মকর্তা ডা:আবু হাসান মো: রেজওয়ানুল কবীরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে সাপ কাটা রোগীর চিকিৎসা হয়না। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন ইনজেকশন নেই, রোগী আসলে আমরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। একই কথা বলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলার প:প: কর্মকর্তা ডা:মো:শফি মাহমুদ। ডিমলা উপজেলার প:প: কর্মকর্তা ডা:মো:সারোয়ার আলম। ডোমার উপজেলার প:প: কর্মকর্তা ডা:মো:রায়হান বারী।

এ বিষয়ে নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা:মো:জাহাঙ্গীর কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এখন সদর হাসপাতালে সাপ কাটা রোগীর চিকিৎসা হয়, সাপ কাটা রোগীর এন্টিভেনাম ইনজেকশন রয়েছে। তবে ইনজেকশন মজুদ না থাকলে আমরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই চিকিৎসার জন্য। কিছুদিনের মধ্যে গ্রামগঞ্জের ওঁঝাদের তালিকা করে তাদেরকে সেমিনারের মাধ্যমে ঝাড়ফোক ও অপচিকিৎসা বন্ধের ব্যবস্থা করব।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281