শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন

বিশ্বনাথে এক নিরীহ বৃদ্ধের পেনশনের ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ

মোঃ আবুল কাশেম
  • সংবাদ প্রকাশ মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

 

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্প-১’র কাজে অর্থ বিনিয়োগে লাভ দেখিয়ে এক নিরীহ বৃদ্ধের ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

তারা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে বৃদ্ধের পেনশনের ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।

বছরের পর বছর শত চেষ্টা করে টাকা উদ্ধার করতে না পেরে অবশেষে ওই দুই জনের বিরুদ্ধে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দিয়েছেন ভুক্তভোগী বৃদ্ধ হাজী মো. ফয়েজ উল্লাহ (৬০)। তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা গ্রামের মৃত মিলফত উল্লাহর ছেলে ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাবেক সিনিয়র স্টাফ।

মামলায় অভিযুক্ত জয়নুল হক জাহাঙ্গীর, গোলাপগঞ্জ থানার ঢাকা দক্ষিণ বারকোট গ্রামের সিরাজ মাস্টারের ছেলে ও সালেহ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা থানার খোজারখলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

মামলার এজাহারে অভিযোগ, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন হাজী মো. ফয়েজ উল্লাহ। অবসরভাতা হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা পান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুবাধে ও মেয়ের শ্বশুড় গোলাপগঞ্জে হওয়ায় অভিযুক্ত জয়নুল হক জাহাঙ্গীর ও সালেহ আহমদের সাথে তার পরিচয় ঘটে।

একপর্যায়ে তার অবসরভাতা প্রাপ্তির খবর পেয়ে অভিযুক্তরা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ঘন ঘন তার অসুস্থতার খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে। তখন বিশ্বনাথের খাজান্সি ইউনিয়নের গোবিন্দনগর বিলপার গ্রামে ‘ছিন্নমূল মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই, প্রধানমন্ত্রীর পূষণী গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে’র কাজ চলছিল।

অভিযুক্তরা প্রকল্পের কাগজাদি দেখিয়ে বৃদ্ধকে জানায়, প্রধানমন্ত্রী নিজে তাদের ১৫০টি ঘর তৈরির কন্ট্রাক দিয়েছেন। এখানে ঋণ হিসেবে টাকা বিনিয়োগ করলে মুনাফাসহ ফেরত দেয়ার লোভ দেখায়।

একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩ লাখ টাকা দেন ফয়েজ উল্লাহ। পরে সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ ২ লাখ ও নগদ আরও ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন তিনি।

নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর টাকা চাইলে দিব-দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করতে তাকে অভিযুক্তরা। পরে পাওনা টাকা অস্বীকার করে তাকে প্রাণে হত্যার হুমকিও দেয় তারা।

অভিযোগ অস্বীকার করে সালেহ আহমদ বলেন, জয়নুল হক জাহাঙ্গীর আমার পূর্ব পরিচিত।

তার আবদারে আমার নিজস্ব মোটরসাইকেলে হাজী ফয়েজ উল্লাহ’র বাড়িতে একদিন গিয়েছিলাম। তাদের মধ্যে কি কথা-বার্তা বা লেনদেন হয়েছে তা আমার জানা নেই।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত জয়নুল হক জাহাঙ্গীর বলেন, যে অভিযোগ তিনি (ফয়েজ উল্লাহ) দিয়েছেন, সে বিষয়ে উনার সাথে আলাপ আলোচনা হয়েছে। কিছুটা টাকাও দেয়া হয়েছে। এটি সমাধানের পর্যায়ে আছে।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281