বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন

রাজস্থলীর বাঙালহালিয়াতে চলছে অবাধে চোলাই মদ ও গাঁজা ইয়াবা ব্যবসা 

চাইথোয়াইমং মাৱমা
  • সংবাদ প্রকাশ বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১
  • ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি

প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়াতে অবাধে চলছে চোলাই মদের ব্যবসা। রাইখালী কারিগর পাড়া পার হয়ে বাজারে ঢুকতেই চোখে পড়ে চোলাই মদ বিক্রি করা পরিবারগুলোর দূর্গন্ধময় পরিবেশ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কুদুম ছড়া,নাইক্যছড়া,কাকড়াছড়ি,ডাকবাংলা পাড়া ছাগল খাইয়া, বটতলী এলাকার বেশকটি পরিবার সংসার চালাচ্ছেন এই চোলাই মদ বিক্রি করে। এতে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন এলাকাবাসী। এসব মাদকদ্রব্য গোপন সিন্ডিকেটের মধ্যে বেঁচে কেনা চলছে সুত্রে জানা যায়। এই মাদকের প্রবেশ পথ বান্দরবান, রাংগুনিয়া ও চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট সড়ক দিয়ে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকবার চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে এখানকার চোলাই মদ ও মদ তৈরীর সরঞ্জাম ধ্বংস করলেও অদ্যাবধি বন্ধ করা যায়নি রাজস্থলীর বাঙালহালিয়া এলাকার চোলাই মদের ব্যবসা। দিনের পর দিন তৈরী ও পাচার হচ্ছে চোলাই মদ।সম্প্রতি গত কয়েক দিন অাগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরীর নেতৃত্বে বিপুল পরিমান বাংলা মদ জব্দ করে। তার পরও থেমে নেই মদ পাচার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বাজারে লোকচক্ষুর সামনে এভাবে মাদকের ব্যবসা এলাকার সমাজকে নষ্ট করবে। বাংলা মদের পাশাপাশি ইয়াবা ও গাঁজা, গুল সহ পুরো স্থানীয় এলাকায় যুবকের হাতে ছড়িয়ে পড়েছে, এতে যুবকরা নেশা আসক্ত কে আপন করে বেছে নেয়। যা প্রতিটি যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায় ।

এই ব্যপারে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, মাদকের ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায় জড়িতদের ব্যাপারে কোন তথ্য থাকলে আমাদের জানান। নাম পরিচয় গোপন রেখে আমরা অভিযান পরিচালনা করব। তিনি আরো জানান, মাদকের সাথে জড়িত কেউ ছাড় পাবেনা।

এব্যাপারে বাঙালহালিয়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুল অালম জানান, বেশ কয়েকবার প্রশাসন এই মদ পাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে এবং বিপুল পরিমান চোলাই মদ ধ্বংস করার পরেও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই তারা মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে করে তরুণ ও যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকার মাদক কে না বলার পক্ষে। পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতিয়দের সীমাবদ্ধের মধ্যে মদ তৈরী করে নিজ নিজ বাড়ীতে সেবন করার কথা থাকলে ও মদের ব্যবসা সম্পন্ন ভাবে নিষিদ্ধ। তাই যুব সমাজ কে রক্ষা করতে হলে প্রশাসন কে সহযোগিতা করতে হবে। নইলে অদুর ভবিষৎ যুব সমাজ ধব্বংসে পরিণত হবে।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281