


সিলেট ব্যুরো প্রধান
শাহপরাণ (রহঃ) থানাধীন শাহপরান মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অভিযানে বন্যপ্রাণী তক্ষক উদ্ধার করা হয়। এ সময় তক্ষক পাচারের অপরাধে পাচারকারী দলের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত (৮ মে) শাহপরাণ থানাধীন কুশিরগুল এলাকা থেকে তক্ষক সহ দুই জনকে আটক করেন এ এস আই আয়াতউল্লাহ। পরে ওই দুই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু আটককৃত তক্ষক গায়েব। পুলিশের দাবি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বণ বিভাগের কাছে দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি তারা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত (৮ মে) রাতে শাহপরাণ থানাধীন কুশিরগুল এলাকা থেকে উত্তর পীরেরচক এর বাসিন্দা ক্যান্টনমেন্টের ক্লিনার মুরাদ ও কুশিরগুল এলাকার বাসিন্দা গপেন পাত্র এর ছেলে সুদেন পাত্র-কে একটি তক্ষকসহ আটক করা হয়। পরে রহস্যজনক কারণে তাদেরকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে উদ্ধার হওয়া তক্ষকের কোন হদিস মিলেনি। অভিযোগে প্রকাশ, উদ্ধার হওয়া তক্ষকটি ফাঁড়ির এ এস আই আয়াতউল্লাহ বিক্রি করে দিয়েছেন।
পুলিশ বলেন আটককৃতদের এসএমপির মামলায় চালান করা হয়েছে। কিন্তু সিলেট আদালতে শাহপরাণ জিআর ও শাহপরাণ নন জিআর কোথাও তাদের চালানের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ এস আই আয়াতউল্লাহ এই তক্ষক আটকের বিষয়টি নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য দফায় দফায় সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চলেছেন। এমনকি সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য লিপ্ত রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে এ এস আই আয়াতউল্লাহ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চায়ের দাওয়াত দিয়ে বলেন, আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ আছে তাদের কাছ থেকে জানেন।
শাহপরান (রহঃ) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ সারোয়ার হোসেন ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আটকের বিষয়টি স্বীকার বলেন, দুই তক্ষক ব্যবসায়ীকে ওসি স্যারের সাথে আলাপ করে থানায় পাঠিয়েছি। তক্ষক গায়েব এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বন বিভাগে দেওয়ার মতো জিনিষ না বিদায় ছেড়ে দিয়েছি।
শাহপরাণ (রহঃ) থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আনিসুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার নজরে নেই তবে খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি।


সম্পাদক ও প্রকাশক : কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর : আব্দুল সুবহান খালেদ
সাব এডিটর : আবু তাহের

