নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
মুই এখন বুড়িমানুষ বাহে কোন কাম কাইজ করিবার পাও না।
কাহো কাজোত নেয় না করিবার পাও না বলে তাও জোর করি মানুষের বাড়িত কাজ করি খাও।
মানুষ কাজোত না নিলে না খেয়া থাকো কাহো খাবার দেয় না মোর বেটা গিলাও কোমিলাত থাকে বৌগুলোক কেও নিয়া গেইছে।
মোর বযস ৮ ০ হইচে তাও মুই কোন পাও না পরিষদ ( ইউনিয়ন পরিষদ) থাকি।
একগিলা মানুষ কয় পরিষদে নাকি শেখে বেটি হাসিনা হামার বুড়ি মানুষের জন্য নাকি কি একখান কার্ড করি দেয় তা মুই পাইম না বাহে।
কথা গুলো বলেছেন নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাড়াই পাড়া গ্রামের৷ মৃত খগেন্দ্র নাথের সহধর্মিণী শ্রী মতি সুরো বালা রায় ।
সুরো বালা রায় ১৯৪২ সালের ২৩ জুলাই জন্ম গ্রহন করেন এবং এখন তার বয়স ৮০ বছর হলেও তিনি পান না কোন সরকারী সাহায্য এবং এখন নিউজ হয়নি তার কোন বয়স্ক ভাতার কার্ড বা বিধুবা ভাতার কার্ড ।
থাকেন একটি কুড়ে ঘরে তবুও পান নি কোন সরকারী ঘর।
এবিষয়ে কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এবং ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ( নাম বলতে রাজি হয়নি) এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি খবর টি আপনার মাধ্যমে শুনলাম আর এর আগে এবিষয়ে কোন ব্যক্তি আমাকে অবহিত করেনি এবং আমি আগে এবিষয়ে জানতে পারলে অবশ্যই ওনাকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিতাম।
এবিষয়ে জলঢাকা উপজেলার ইউএনও কর্মকর্তা মাহবুব হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি আগে জানতাম আমার উপজেলায় ৮০ বছরের একটি বিধুবা নারী আছে যিনি এখনো কোন সরকারী সহায়তা বিধুবা ভাতা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড পায়নি তবে আমি এখন বিষয়টি দেখবো।
এদিকে জলঢাকা উপজেলার সমাজসেবা এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায় ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান