শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের অজানা তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হুমায়ূন সুলতান

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ তহিদুল ইসলাম, যশোর

মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ এ প্রথম হানাদর মুক্ত হয় যশোর জেলা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম ভাবে বাংলাদেশের মানুষ কে হত্যা করে, ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মা বোনেদের উপর অমানবিক নির্যাতন করে, চারিদিকে শুধু গুলি আর
আর্তনাদের আওয়াজ।
রাতের আধারে বাঙ্গালী নারীদের তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে দেয়।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষনের পর বাংলার ঘরে ঘরে তৈরি হয় মুক্তিযোদ্ধা। অবশেষে বাংলাদেশ থেকে পালাতে হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের। ৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম হানাদার মুক্ত হয় যশোর জেলা। তাই এই দিনটা যশোর মুক্ত দিবস হিসাবে পালিত হয়। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হুমায়ুন সুলতান শাদাব বলেন, আমার বাবা খান টিপু সুলতান ছিলেন বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রহ করা শুরু করেন ও নিজের জীবন বাঁজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে বীর যোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রানিত করেন।বঙ্গবন্ন্ধুর নির্দেশে স্বাধীনতা ঘোষনা হবার পূর্বেই আমার পিতা খান টিপু সুলতান সুস্বজ্জিত স্বশস্ত্র মুক্তিদ্ধাদের কুঁচকাওয়াজে ২৩শে মার্চ ১৯৭১ এ সালাম ও অভিবাদন গ্রহন করেন এবং যশোর কালেক্টরেট ময়দানে পকিস্তান দিবসের পরিবর্তে বাংলাদেশ দিবস পালন করেন। অতএব যারা স্বাধিনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক করে রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক হবার ব্যার্থ অপচেষ্টা করেন তাদের উদ্দেশ্যে তরুন প্রজন্মের নাগরিক হিসেবে প্রশ্ন করতে চাই তাহলে ২৬শে মার্চের তিনদিন পূর্বেই বঙ্গবন্ধু তাঁর কর্মীদের বাংলাদেশ দিবস পালন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন? কেন তাঁর সাংগঠনিক নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ করতে বলেছিলেন? নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা কিংবা আংশিক ইতিহাস দিয়ে বিভ্রান্তির চেষ্টার দিন আজ শেষ।তারপর আমার পিতা খান টিপু সুলতান ২৫শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা ও কারান্তরীন হবার পর ভারতে যেয়ে তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ পরামর্শ করে যশোর-খুলনা অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ও অস্ত্রের সংস্হান করেন এবং মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাকে মুক্তিযুদ্ধে “Student Political Liaison Officer” পদে নিয়োগ দান করেন। মুক্তিবাহিনীর বেসামরিক কমান্ডার হিসেবে খান টিপু সুলতান ৮নং সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে শুধু যুদ্ধ পরিচালনায় করেননি সাথে অস্ত্রহাতে দুর্ধর্ষ বহু যুদ্ধেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে যশোর জেলা প্রথম হানাদারমুক্ত হয়। কিন্তু তারপরও তিনি থেমে থাকেনি, যখন খবর পান খুলনার দিকে মুক্তিবাহিনী হানাদারদের সাথে প্রবল যুদ্ধে অবতীর্ন তখন যশোরের বীর যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে আমার পিতা খুলনায় মুক্তিযোদ্ধাদের বল বৃদ্ধি করেন ও আমরা জয় লাভ করি।মুজিবনগর সরকার স্বাধীন বাংলাদেশে প্রবেশের পর ১৬ই ডিসেম্বরের আগেই ১১ই ডিসেম্বর ১৯৭১ টাউন হল ময়দানে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের একটি জনসভা আয়োজন করেন আমার পিতা তৎকালীন বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগ ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি খান টিপু সুলতান ও সেই জনসভা সঞ্চালনা করেন। ১১ই ডিসেম্বরের যশোরের সেই জনসভার মাধ্যমে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যগণ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ সমগ্র পৃথিবীকে ১১ই ডিসেম্বরেই যশোরের জনসভা থেকে অবগত করেন বাংলাদেশে এখন স্বাধীন। যার ফলশ্রুতিতে পাকিস্তান সরকারের ওপর আত্মসমর্পনের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ প্রবল থেকে প্রবলতর হতে থাকে এবং মাত্র পাঁচদিনে যেতে না যেতে ১৬ই ডিসেম্বর তারা আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়।এদেশের স্বাধীনতায় এবং মহান মুক্তিসংগ্রামে যশোরের বীর যোদ্ধাদের অংশগ্রহন আত্মত্যাগ, বলীদান ও বীরত্ব যশোরবাসীকে গর্বিত করেছেতো বটেই গোটা দেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে তরান্বিত করতেও সাহস ও অনুপ্রেরনা যুঁগিয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।যশোর মণিরামপুর ১৪ নং দূর্বডাঙ্গা ইউনিয়ন ও মনিরামপুর সরদ ৬ নং ইউনিয়নে, যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী আলচনা ও গণসংযোগ করেন।তৃণমূল পর্যায়ে নেতা কর্মীদের বাড়িতে যেয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মী ও ভোটারদের বাড়িতে যেয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে,আবারও তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

হুমায়ুন সুলতান বলেন তৃণমূল পর্যায়ের আপনারা আওয়ামী লীগের খাটি কর্মী, আপনারা হতাশা ঝেড়ে ফেলে আবারও শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে, আপনাদের জেগে উঠতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী জণগণের স্বার্থে রাত দিন কাজ করে চলেছেন। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনার আবারও এক হয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণা করেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের এমন কোনো স্থান নাই সেখানে উন্নয়ন করেনি।স্কুল কলেজ, মসজিদ,মন্দির রাস্তা ঘাট,সহ বয়স্ক ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,মাতৃকালিন ভাতা,ফ্রী তে বই,এমন কি কৃষি খাতে ধানের বীজ,সার দিচ্ছেন ফ্রী তে।আসুন আবারও আমরা এক হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করি।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য, বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আস্হাভাজন
খান টিপু সুলতানের উত্তরসূরি ও সন্তান হিসাবে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনাদের প্রিয় নেতাকে যে ভাবে পাসে পেয়েছেন।আমাকেও সেই ভাবে পাসে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অরবিন্দু হাজরা সেচ্ছাসেবক নেতা শহিদুল ইসলাম,সেলিম রেজা,আ,লীগ নেতা রায়হান,ইউপি সদস্য সঞ্জয় কুমার,সহ আরো অনেকে।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281