শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ন

আজ পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা

শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
  • সংবাদ প্রকাশ বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে

হাওড় বার্তা

পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা অর্থাৎ চন্দ্র মাস, সফর মাসের শেষ বুধবার। ফারসী ভাষায় চাহার সোম্বা বলা হয় বুধবারকে। আর আখের মানে শেষ, তা হলে আখেরী চাহার সোম্বা মানে হল শেষ বুধবার।

এ দিনে মহানবী (صلى اللّٰه عليه وسلم) রোগমুক্ত হয়ে সর্বশেষ গোসল করেন।

গোসল শেষে নাতিদ্বয় হযরত ইমাম হাসান (رضي اللّٰه عنه), হযরত ইমাম হোসাইন (رضي اللّٰه عنه) এবং মা ফাতেমা (رضي اللّٰه عنها)’কে ডেকে এনে তাদের সাথে সকালের নাস্তা করেন।

হুজুরে পুরনুর (صلى اللّٰه عليه وسلم)’এর পাগল সাহাবা (رضي اللّٰه عنهم)’বৃন্দ এ খবর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন। যে যাঁর মত দান সদকা করতে লাগলেন।

হযরত বেলাল (رضي اللّٰه عنه) এবং সুফফাবাসীবৃন্দ বিদ্যুৎ বেগে এ সুসংবাদ মদিনার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেন। এ সুসংবাদে সাহাবায়ে কেরামের (رضي اللّٰه عنهم) মধ্যে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়। তাঁরা বাঁধভাঙ্গা স্রোতের মতো দলে দলে এসে হুজুর (صلى اللّٰه عليه وسلم)-কে এক নজর দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। হুজুর (صلى اللّٰه عليه وسلم)’এর রোগমুক্তিতে সাহাবায়ে কেরাম (رضي اللّٰه عنهم) এতটাই খুশী হয়েছিলেন যে, হযরত আবুবকর সিদ্দিক (رضي اللّٰه عنه) তৎকালের ৫ হাজার দিরহাম গরীবদের মধ্যে বিলিবণ্টন করেছিলেন।

হযরত ওমর (رضي اللّٰه عنه) দান করেন ৭ হাজার দিরহাম।

হযরত ওসমান (رضي اللّٰه عنه) দান করেছিলেন ১০ হাজার দিরহাম ও হযরত আলী (كرم اللّٰه وجهه) দান করেছিলেন ৩ হাজার দিরহাম। ধনী ব্যবসায়ী হযরত আবদুর রহমান (رضي اللّٰه عنه), ইবনে আউফ (رضي اللّٰه عنه) ১০০ উট আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দেন।

রাসূল (صلى اللّٰه عليه وسلم)’এর সামান্য আরামবোধের কারণে সাহাবা (رضي اللّٰه عنهم) কীভাবে জান-মাল উৎসর্গ করতেন, এটাই তার সামান্য নমুনা। সুবহান-আল্লাহ!

রাসূল (صلى اللّٰه عليه وسلم)’এর সামান্য রোগমুক্তির দিবস আখেরি চাহার সোম্বার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে পারস্যসহ এশিয়ার পাক-ভারত উপমহাদেশে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এ দিনটি পালন করা হয়।

আমরা মানুষেরা ফেরাউনের ঘটনা, হযরত ইব্রাহীম (عليه السلام)’এর অগ্নিতে নিক্ষেপ ও মুক্তির পবিত্র ঘটনা স্মরণ করে হেদায়েতের আলো লাভ করে থাকি।

আখেরি চাহার সোম্বা’র দিনে অর্থাৎ আরবি সফর মাসের শেষ বুধবারে (সেদিন ৩০শে সফর ছিলো) গোসল শেষে শোকর গোজার হিসেবে দু’রাকাত নফল নামাজ আদায় শেষে রোগ থেকে শেফার দোয়া ও দান-খয়রাত হচ্ছে বুজুর্গানে দ্বীনের আমল।

বর্ণিত আছে, রাসূল (صلى اللّٰه عليه وسلم) এই দিন রোগ থেকে মুক্তিলাভ করেন এবং গোসল করেন।

এ দিনের পর তিনি আর গোসল করেননি। এরপর তাঁর রোগ বৃদ্ধি পায়। অতঃপর ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে বেসালপ্রাপ্ত হন।

এই দিনটিতে মুসলমানবৃন্দ গোসল করেন, নতুন পোশাক পরিধান করেন এবং খোশবু লাগান। [ফারহাঙ্গ-ই-আসফিয়া, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১২৬]।

এস আই রেদুয়ান /হাওড় বার্তা ডটকম 

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281