সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
বিস্ফোরক এক অভিযোগ তুলেছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জাতীয় দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রত্রিকার প্রতিনিধি ও তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাহান তালুকদার। আবু জাহান তালুকদার নামের ওই সাংবাদিক আশঙ্কা করছেন তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, সড়ক দুর্ঘটনায় হত্যা কিংবা মেরে আত্মহত্যা হিসেবেও চালিয়ে দিতে পারে বলে সাংবাদিক নিজেই জানিয়েছেন। তিনি এটাও বলছেন, নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো ছেলে নন তিনি।
নিজের ফেসবুকে এমন অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সাংবাদিক আবু জাহান তালুকদার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জানি আল্লাহ তাআলার হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। তবু নিজের সান্ত্বনায় বলছি, আমার সাথে যদি কোনাে খারাপ কিছু হয় যেমন দুর্ঘটনার আহত বা নিহত অথবা সুইসাইড করার কোনো খবর আসে তাহলে বুঝে নিতে এটা কোনো প্রকৃতি নয়, কোনো না কোনো মানুষের মাধ্যমে হয়েছে।’
আত্মহত্যা করবেন না জানিয়ে আবু জাহান তালুকদার বলেন, ‘নিজের হাতে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো ছেলে আমি না, অনেক কষ্ট করে পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে নিজেকে গড়ে তুলছি। তবে জীবনে কোনো মানুষকে ঠকাইনি, বরং ঠকেছি।
সাংবাদিকতা করি বিধায় আমার উপর বারবার হামলা-মামলা করা হচ্ছে। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বারবার।
কিন্তু কেন এবং কী কারণে এমনটা হতে পারে বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেননি। এ বিষয়ে দৈনিক হাওড় বার্তার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে আবু জাহান তালুকদার বলেন, ‘আমি অনুমান করছি আমার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে। আমি এখন বলছি আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। অলরেডি কয়েকবার চেষ্টা করা হয়েছে।’
ঘটনার বিবরণ দিয়ে আবু জাহান তালুকদার দৈনিক হাওড় বার্তাকে বলেন, আমি সাংবাদিকতায় আসার ১বছর পর থেকেই আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি-দামকি এবং আমাকে একবার গাড়িচাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে কথা চেপে গিয়েছিলাম। গত ২৬শে এপ্রিল আমি নতুন বাজারে সুনামগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি আবুল খায়ের ভাইয়ের দেওয়া ইফতারের দাওয়াতে যাই, সেখানে ইফতার শেষে আমি আমার বাড়িতে আসার জন্য একটি মোটরসাইকেল কে ডাক দেই, তখন আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টায় আমার উপরে কয়েকজনে হঠাৎ পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে এবং হাতে, মুখে ও পায়ে ধরে নতুন বাজারের মেইন রোড থেকে বাজারের পর্ব পাশে নিয়ে যায় এবং মারপিট শুরু করে তখন বাজারের লোকজন আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। এবিষয়ে আমি তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করি।
এখন মনে হচ্ছে কথাগুলা এই মুহূর্তে বলা দরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও আমার নাম উল্লেখ করে আমাকে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এবং শ্রীপুর বাজারের বাহিরে গেলে আমাকে দেখে নিবে বলেও ফেইসবুকে পোষ্ট করতেছে।
কারা নেপথ্যে―এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, সালমান, জবরুল, হামিদসহ কয়েকজন। আমি শুধু জানিয়ে রাখলাম আমাকে মেরে ফেলা হতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।