রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ছাতকে বালু সমিতির নেতৃত্বে সাত্তার-দিলোয়ার।ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০২৪ সম্পন্ন।সুনামগঞ্জে রিক্সা চালক ও হতদরিদ্রদের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ।সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা ওয়াকিফুর রহমান আর নেই-!!ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য হুমকি। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার জুয়ার উঠেছে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকেরআবারও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে চান এড. আবুল হোসেন ১১ বছর স্বাস্থ্য সহকারী পদে কাজ করেও স্বাস্থ্য সহকারী হতে পারেননি ২১ জন যুবক।তীব্র তাপদাহ: ঘাম, প্রখর রোদ উপেক্ষা করেও ফসলের মাঠে কৃষকর কৃষাণী।জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।

এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ২১ গুণ আয় বেড়েছে। 

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি::সপ্তমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মুহিবুর রহমান মানিক এমপি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন টানা ষষ্ঠবারের মতো। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হলেও ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৫ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এর আগে সর্বপ্রথম ১৯৯১ সালে গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী হিসেবে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ে পরাজিত হয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ৯ জন। তবে এমপি মানিকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত শামীম আহমদ চৌধুরী। সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক’র সবোর্চ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি। বালু পাথর ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা করেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আয় বাড়ায় সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে সুনামগঞ্জ ৫ আসন থেকে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মুহিবুর রহমান মানিক এমপির। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা তিনি বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছিলেন ২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাত থেকে ৬ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা বার্ষিক আয় করতেন তিনি। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী বার্ষিক আয় ৫২ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৬৬ টাকা। সে হিসাবে গত ১৫ বছরে আয় বেড়েছে ২১ গুণেরও বেশী। এবার কৃষিখাত থেকে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা ও প্রার্থীর উপর নির্ভরশীদের আয় ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৮৩ টাকা, বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ও প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের আয় ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৫০ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৭০ টাকা ও প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের আয় ৪ হাজার ৮৬৮ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৮ টাকা, চাকুরী, সংসদ সদস্য হিসেবে পারিতোষিক ২৬ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৪৭ টাকা আয় উল্লেখ করেছেন। অনুরূপভাবে বেড়েছে অস্থাবর সম্পদও। ১৫ বছরে বেড়েছে ১৪ গুণেরও বেশী। শুধুমাত্র স্ত্রীর বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশী। ২০০৮ সালে ১৮ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল এমপি মানিকের। এর মধ্যে নিজ নামে নগদ ১ লক্ষ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ২৫ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ২০ হাজার টাকা, নির্ভরশীলদের নামে পোষ্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগের পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা, ১টি জীপ গাড়ি মূল্য ৭ লক্ষ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ৫০ তোলা স্বর্ণ ৪ লক্ষ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৭৯ হাজার টাকা ও উপহার হিসেবে পাওয়া ১টি বন্দুক ও ১টি রিভালবার। ২০২৩ সালে হয়েছে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩২৯ টাকায়। এরমধ্যে আছে নিজ নামে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৯২.৫৮ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ১৭২.৪২ টাকা, পোষ্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি টাকা, জীপ গাড়ি একটি ৮৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৯০ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে মোটর গাড়ি ১ টি ৪০ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৭৪ টাকা, ৫০ তোলা স্বর্ণ ৪ লক্ষ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ১৫ তোলা স্বর্ণ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, আসবাবপত্র ৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বেড়েছে স্থাবর সম্পদের পরিমাণও। এবার দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজ নামে কৃষি জমি ২.৫৫১৩ একর ১৪ লক্ষ ৯১ হাজার ১৯৭ টাকা ও ২.৪০ শতক উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। প্লট ৫ কাঠা জমি ১.২৪ শতক ৪৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫১০ টাকা, বাড়ি/এপার্টমেন্টের সংখ্যা ১টি ২৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়াও উত্তরাধিকার সূত্রে যৌথ মালিকানায় অকৃষি জমি ০.১৪০০ একর ও ১টি মন্ডলীভোগ ১টি আমেরতলে দালান। এদিকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী স্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল উত্তরাধিকার সূত্রে ৮ কেদার কৃষি জমি, অকৃষি জমি ১৩ শতক ১ লক্ষ ৬৫ হাজার, যৌথ মালিকানায় গৃহ, নিজ নামে ঢাকায় ৩ কাঠা জমি ২ কিস্তি বাবদ পরিশোধ ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281