মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নিহত রাজুর পরিবার

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।

কুষ্টিয়া পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করতে ও ইউপি নির্বাচনী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠেছেন নিহত রাজুর পরিবার। অন্যদিকে রাজু হত্যার ময়না তদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ তারা। এ বিষয়টি নিয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন গত রবিবার দুপুরে প্রথমে সংবাদ সম্মেলন ও পরবর্তীতে দুপুরে কুষ্টিয়া শহরে মানববন্ধন করেন। সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে নিহত রাজুর পরিবার বলেন, সুরতহাল রির্পোটে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ থাকলেও ময়না তদন্ত রিপোর্টে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে হত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে নিহত রাজু হত্যার সুষ্ঠ বিচার ও এ এস আই ওবায়দুলের দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবী করা হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে নিহত রাজু আহমেদের মা কমেলা খাতুন ও পিতা মুন্তাজ আলী বলেন, গ্রামে সামাজিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মামুন ও বক্কার গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দহকুলা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই ওবায়দুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রথমে দরবেশ পুর গ্রামে হানা দেয়। এ সময় পুলিশ গ্রামের প্রতিটা বাড়ী তল্লাশী করার নাম করে পুরুষদের বের করে দেয়। পরে এসআই ওবায়দুল সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে মুন্তাজ আলীর ছেলে রাজুর বাড়ীর সামনে অবস্থান নেয়।

তারা এটাও বলেন, এই সুযোগে বক্কার, দাউদ মন্ডল, আশরাফুল, রনি, রাজ্জাক মেম্বর, আব্দুল আলীমসহ শতাধিক ব্যক্তি রাজুর বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে এবং রাজুকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে এসে ঘরের সামনে এলোপাতাড়ী গুলি করে হত্যা করে। এ সময় তারা ২০/২৫ রাউন্ড গুলি ফায়ার করে। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছালে এসআই ওবায়দুল দ্রুত তার পুলিশ ফোর্স নিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। নিহত রাজুর ভাই শাহিন আলম বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৩০/৪০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে জানা গেছে, এটি একটি পরিকল্পিত যা অপর পক্ষকে ফাঁসানোর জন্যই এই হত্যাকাণ্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত এলাকার বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি প্রতিবেদককে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তারা এটাও বলেন দীর্ঘ দুই যুগ ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল তারই ধারাবাহিকতায় বক্কর ও দাউদ মন্ডল গ্রুপকে ফাঁসানোর জন্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পাঠার বলি বানালেন রাজুকে। যা ময়নাতদন্তে সরাসরি উঠে এসেছে যে, রাজুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। তারা এটাও বলেন, ঐদিন সন্ধ্যা থেকেই আলামপুর ইউপির সাবেক জামাতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও মামুন গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখেছি। তারা আরো বলেন, আগামী ইউপি নির্বাচনী প্রার্থী দাউদ মন্ডলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে উঠেছেন নিহত রাজুর পরিবার ও অন্তরালে থাকা কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি। হত্যাকাণ্ডটি একটি সাজানো নাটক বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।

বাদী শাহিন আলমের দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ওই দিন রাত্রে ২০/২৫ রাউন্ড গুলি ফুটেছে। মূলত উক্ত গুলি মামুন গংরা নিজেরাই করেছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। তারা এটাও বলেন মামুন গংদের কাছে প্রচুর পরিমাণ ভারী অস্ত্র রয়েছে যা কল্পনা করা দুষ্কর। এ বিষয়ে দহকুলা ক্যাম্পের এএসআই ওবায়দুলের সঙ্গে কথা বললে, তিনি বলেন ওই দিন রাত্রে আমরা ওখানে ছিলাম না। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে, সেই সাথে কুষ্টিয়া পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নিহতদের পরিবার।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281