শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন

তালায় গৃহবধূ লিজা আত্মহত্যা না কি পরিকল্পিত হত্যা! হাওড় বার্তা

মোঃ লিটন হুসাইন
  • সংবাদ প্রকাশ রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১
  • ৬৬৯ বার পড়া হয়েছে

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

তালায় লিজা খাতুন(১৬) নামের কিশোরী গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বামীর পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বললেও বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ও শশুর পলাতক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রকাশ, প্রেমের সম্পর্ক ধরে তালা উপজেলার শুভংকারকাটি গ্রামের ইমান সরদারের পুত্র হানিফা সরদারের (২২) সহিত লিজা খাতুন বিবাহ হয় পরিবারের অমতে প্রায় ৩ মাস আগে। বিবাহের পর হতে কিশোরী গৃহবধূ লিজা খাতুনকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসতো স্বামী হানিফা সরদার,শশুর ইমান সরদার,শাশুড়ি ঝর্না বেগম এবং লিজার কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করা হতো বলে জানা যায়।গত ৯ জুলাই শুক্রবার লিজা খাতুন কে মারপিট করে বিষ খাওয়ায়ে হত্যার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

ঘটনার বিষয়ে সরজমিনে শুভংকারকাটি গ্রামে খোঁজ নিলে সাইদ সহ গ্রামবাসী জানান, হানিফা তার স্ত্রীকে প্রায় প্রতিনিয়ত মারধর করতো। হানিফার বৌ যেদিন মৃত্যু বরণ করেছেন সেদিন দুপুরে বিষপানের খবর আমরা পায়। কিন্তু হানিফার পরিবারের সদস্যরা তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিভিন্ন রকমের তাল বাহানা শুরু করে। তাদের এই সময় ক্ষেপনের জন্য লিজা মৃত্যুবরন করেছে।

লিজার মাতা তাসলিমা বেগম(৩৫) জানান, আমার মেয়ে তার খালার বাড়ি শুভংকরকার্টি গ্রামের বেড়াতে যায় প্রায় ৫-৬ মাস আগে।সেখানে থাকায় অবস্থায় একই গ্রামের ইমান সরদারের পুত্র হানিফা সরদার আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমার বোন বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়েকে আমার কাছে ঢাকার আশুলিয়ায় পাঠিয়ে দেন। কিন্তু সেখান হতে হানিফা ও তার সঙ্গীরা জোরপূর্বক আমার মেয়ে তুলে এনে বিবাহ করে। অনেক খোঁজা খুজি করার পরে আমি মেয়ের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারলে মানসিক ভাবে তাদের বিয়ে মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রস্তুতি মোতাবেক ও মেয়ের কথা মত জামাইকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে প্রদান করি। কিন্তু টাকা দেওয়ার সত্বেও আমার মেয়েকে তার স্বামী,শশুর,শাশুড়ী শরিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। সর্বশেষ গত শুক্রবার ৯ ই জুলাই আমার মেয়েকে মারধর করে জোরপূর্বক বিষপান করানো হয়।

আমার বোন বিষপান করানোর বিষয়টি জানতে পেরে লিজাকে নিয়ে তালা হাসাপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে আসে।সেখানে রাত আনুমানিক ৭টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন লিজা। আমি কোটের মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।এদিকে লিজার সুরতহাল করার সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে সেখানকার লোকজন জানিয়েছেন।

এবিষয়ে হানিফা দাদী বলেন, আমাদের পুতাবৌ কে কোন মারধর করা হয়নি। সে ইচ্ছাকৃত ভাবে আহত হত্যা করেছেন।

তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান,প্রাথমিক ভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা রের্কড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিষয়টি স্পষ্ট বলা যাবে।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281