দৈনিক হাওড় বার্তা
নিজেস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজীর আহমেদকে বেধড়ক পিটিয়েছে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেনের চার ভাতিজা। রোববার দুপুরে স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজীর আহমেদ রোববার সকালে কলেজে আসলে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন এর ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তার সহযোগীদের উপস্থিতে বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। পরে অধ্যক্ষ আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গেলে সেখানে আগে থেকে ওতপেতে থাকা চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজা বড়খাল গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের পুত্র দেলোয়ার হোসেন, আবদুল মোক্তাদির (কাপ্তান) মিয়ার পুত্র মোখলেছুর রহমান ও ফয়জুর রহমান, আবদুল মতিনের পুত্র সোয়াইব আহমদ রুমের দরজা বন্ধ করে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। পরে অধ্যক্ষের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে হামলাকারীদের কবল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে উপজেলা শিক্ষক সমিতি এবং সুশীল সমাজের লোকজন শিক্ষক পেটানোর ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনতিবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ সোমবার এক প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে।
এই ঘটনা বিষয়ে জানতে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান আজ সারাদিন ০১নং বালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার হালনাগাদের কাজে বেস্ত থাকায় তিনি তা পুরোপুরি জানেন না।
এসময় হাওড় বার্তার প্রতিনিধি আবু তাহের মিসবাহ জানতে চেয়েছিলেন যে বিভিন্ন মহলে প্রচার হচ্ছে হামলাকারী ৪জন আপনার ভাতিজা বলে প্রচার হচ্ছে এটি কতটুকু সত্য উত্তরে চেয়ারম্যান মহোদয় জানান এটি সত্য তারা আমার ভাতিজা তবে তারাও ত নজীর স্যারের ছাত্র অপরাধ করলে শিক্ষক হিসেবে কিছু বলতেই পারেন।
কিন্ত এভাবে একজন শিক্ষাগুরুর উপর হামলা করাটা মোটেও ঠিক হয়নি ঘটনার পর আমি বিষয়টি জানার জন্য অন্যান্য শিক্ষদের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম কিন্ত তারা বেস্ততা দেখিয়েছেন, তিনি আরও জানান আমি কখনো অন্যায়কে আশ্রয় দেয়না ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে এবং তারা অপরাধী হয়ে থাকলে অবশ্যই দেশের আইন অনুযায়ী তাদেরকে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা মেনে নিবো।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, আহত অধ্যক্ষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।