বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিশ্বনাথে অবশেষে ‘মুচলেকা’য় মুক্তি ভূঁয়া সাংবাদিকের! হাওড় বার্তা

মোঃ আবুল কাশেম
  • সংবাদ প্রকাশ সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১
  • ৫৬৪ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি 

অবশেষে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পেয়েছেন, ফেসবুক লাইভে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী সেই ভূঁয়া সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন। আজ সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিলে মানবিক বিবেচনায়, ভবিষ্যতে এধরনের কর্মকান্ড না করার শর্তে তাকে ছাড় দেয়া হয়েছে।

লিখিত মুচলেকায় তিনি বলেন, ‘আমি কোন সাংবাদিক নই। চাকুরী চলে যাওয়ায় জীবিকার তাগিদে এই পেশায় আসি। সম্প্রতি আমি আমার ইউটিউব চ্যানেল ও ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দৈনিক সবুজ সিলেট ও তার বিশ্বনাথ প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর ভিডিওচিত্র প্রচার করি।

বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে আমি আমার ভূল বুঝতে পারি। এ ধরণের অপপ্রচার করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনায় আমি দৈনিক সবুজ সিলেট কর্তৃপক্ষ, বিশ্বনাথ প্রতিনিধিসহ বিশ্বনাথে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের নিকট ক্ষমা চাই।সেই সাথে ভবিষ্যৎতে এ ধরণের কর্মকান্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করছি।’

প্রসঙ্গত, গেল ১৭ জুলাই উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের মৃত সমসু মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক আনোয়ার হোসেন (৩৮) তার ইউটিউব চ্যানেল ও ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দৈনিক সবুজ সিলেট ও এর বিশ্বনাথ প্রতিনিধিকে তজম্মুল আলী রাজুকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ভিডিও প্রচার করে। এ ঘটনায় গত ১৮ জুলাই তার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় সাধারাণ ডায়েরী (জিডি নং-৭২৫) করেন রাজু।

ডায়েরীতে প্রকাশ, উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের মৃত সমছু মিয়ার ছেলে গাড়িচালক আনোয়ার হোসেন (৩৮), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেকে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। সে তার ইউটিইউব ‘‘. সিলেট নিউজ ২৪’’ চ্যানেল ও নিজ নামে নামীয় ফেসবুক আইডি (আনোয়ার হোসেন) খুলে নিজে নিজেকেই ‘চীফ রিপোর্টার’র দায়িত্ব দিয়ে হলুদ সাংবাদিকতায় লিপ্ত হয়।

গেল ১৭ জুলাই সে ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুকে দৈনিক সবুজ সিলেট ও সাংবাদিক তজম্মুল আলী রাজুর বিরুদ্ধে অর্থের দ্বার প্রভাবিত হয়ে মিথ্যে-বানোয়াট ও মানহানিকর ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়। এতে সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে মানহানি ও চরম ক্ষতির সম্মুখিন হন তিনি। তার এমন কার্যকলাপে অতিষ্ঠ সাংবাদিক সমাজসহ এলাকাবাসি। জানা যায়, আনোয়ারের পিতা সমসু মিয়া ছিলেন নিরীহ আইসক্রিম বিক্রেতা। তিনি ফেরি করে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে গাড়ি চালকের পেশায় নিয়োজিত হয় আনোয়ার। ঢাকায় প্রাইভেট গাড়িতে চাকুরীরত অবস্থায় চাকুরী চলে যাবার পর, এলাকায় এসেই একদিনে সে ‘সাংবাদিক’ বনে যায়।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281