সাজন বড়ুয়া সাজু
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
আজ ২৯শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি কালো দিন,,রামু-উখিয়ার শতাধিক বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল, নিমিশে ধংস্ব করে দিয়েছিল হাজার হাজার বছরের বৌদ্ধ নিদর্শন।
সেদিন একদল কাপুরুষের দ্বারা পাল্টে গিয়েছিল সম্প্রতির মহড়া,যেন এক ভয়াল রাত্রির দৃশ্য।
রামু,উখিয়ার বৌদ্ধজাতি স্বীকার হয়েছিল এক অনস্বীকার্য ট্রাজেডির।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুক প্রোফাইলে ফেইক আইডি থেকে অন্যের ট্যাগ করা একটি পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননাকর ছবির অভিযোগ হতে।
ঘটনার ৯ বছর পূর্ণ হলো আজ। কিন্তু এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মূল হোতাদের অনেকেই! তাই এখনো শংকা কাটছে না বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের
সেদিনের স্মৃতি মনে পড়লে আজও আতঙ্কিত এবং ভয় করে করে বলে জানিয়েছেন রেজুরকুল সদ্ধর্ম বিকাশ বিহারের অধ্যক্ষ জ্যোতিধর্ম থের।
এছাড়া সেদিনের ঘটনার সময় নিজ বিহার অগ্নিসংযোগ হতে দেখে আজও বিচলিত হয়ে উঠে বলেন মরিচ্চা দিপাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বিমলাজ্যোতি মহাথের বলেন ঘটনার সময় যখন মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু উগ্রবাদী বিহার হামলা করতে আসছিল তখন প্রাণভয়ে ধানক্ষেতে লুকিয়ে ছিলাম।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রেজুরকুল সদ্ধর্ম বিকাশ বিহারের দায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলার বাদী সুমন্দ্র বড়ুয়ার কাছ থেকে জানতে চাইলে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন আজলে অগ্নিসংযোগের ৯ বছর পার হলেও আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। বুক ফুলিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামে। এছাড়া কয়েকজন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তারাও গ্রেফতারের কয়েকমাস পর জামিন নিয়ে ফেলছে,
সরকার ক্ষতিগ্রস্থ ও পুড়ে যাওয়া বৌদ্ধ বিহার এবং বসতবাড়ি আধুনিক নকশা ও শৈলীতে দৃষ্টি নন্দন করে সংস্কার আর পুনঃ নির্মাণ করে দিয়েছেন
কিন্তু সেই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য, সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি কী আর কখনো ফিরে আবারও সুদিন ফিরবে তাও সন্ধিহান জানি এ প্রশ্নের কোন তবুও বৌদ্ধসম্প্রদায় স্মৃতির অতলে হাতরে বেড়ায়, একবুক স্বপ্ন দেখে আবারও কোনো এক সম্প্রীতির জোয়ার বয়ে বেড়াবে এই দেশে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।