নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় রান্না করার চুলার ধোঁয়া নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা গ্রামে। গত ৮ সেপ্টেম্বর ও ৯ সেপ্টেম্বর দুই দিন থেমে থেমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৮ সেপ্টেম্বর রাতে রুহেনা বেগম চুলায় রান্না করার সময় চুলার ধোঁয়া যেন বাবরের বাড়িতে না যায় সে বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। সে সময় নারীসহ তিনজন আহত হয়। এর পরই রুহেনা পাশে বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরের দিন ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে রুহেনার বাবার বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে বাবরের লোকজন। এ সময় গ্রামের লোকজন দুই পক্ষকে সমর্থন করে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুই পক্ষের ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামায়।
সংঘর্ষে আক্কাস আলীর পক্ষের আহতরা হলো-মো. সাজু মিয়া, জুবায়েদ মিয়া, খদিজা বেগম, সুখন ভূইয়া, ফয়সল মিয়া, জাহের মিয়া, তাওহিদ মিয়া, রুহেনা বেগম, কামাল ভূইয়া, রুপালী আক্তার ও নোয়াব ভূইয়া।
বাবর আলীর পক্ষের আহতরা হলো- জুম্মন মিয়া, সায়েদ মিয়া, শরফত আলী, বাবর আলী, শাহজাহান মিয়া, আয়েশা বেগম ও নাহিদা বেগম।
আক্কাস আলীর মেয়ে রুহেনা অভিযোগ করে বলেন, চুলার ধোঁয়া যেন তাদের বাড়িতে না যায় এ নিয়ে আমার উপর বাবর আলীর লোকজন মারধর করে। পরে আমি ভয়ে বাবার বাড়িতে চলে যাই। সেখানে গিয়েও তারা আমাদের লোকজনদের পিঠিয়ে জখম করে। তিনি আরো বলেন, বাবর আলীর দুই ছেলে আমাকে বিবস্ত্র করে পিঠিয়ে বাম হাতটি ভেঙ্গে দিয়েছে। আমার ও আমার বোনের কানের ও গলার স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। রুহেনা জানান, সংঘর্ষের সময় বাবর আলীর দুই ছেলে, আমার শরীরের কাপড় ছিড়ে ফেলে, আমাকে বিবস্ত্র করে সবার সামনে পিঠিয়েছে।
নসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, রান্নার চুলার ধোঁয়া নিয়ে আপন দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন সামান্য আহত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় মামলা করেনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।