শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০২৪ সম্পন্ন।সুনামগঞ্জে রিক্সা চালক ও হতদরিদ্রদের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ।সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা ওয়াকিফুর রহমান আর নেই-!!ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য হুমকি। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার জুয়ার উঠেছে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকেরআবারও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে চান এড. আবুল হোসেন ১১ বছর স্বাস্থ্য সহকারী পদে কাজ করেও স্বাস্থ্য সহকারী হতে পারেননি ২১ জন যুবক।তীব্র তাপদাহ: ঘাম, প্রখর রোদ উপেক্ষা করেও ফসলের মাঠে কৃষকর কৃষাণী।জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।সুনামগঞ্জে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবীতে কর্মসূচী। 

তালা আলিয়া মাদ্রাসায় দুর্নীতি একই প্রতিষ্ঠানে ২শিক্ষকের ৪ পদ দখল: অভিযোগ মাদ্রাসা গভর্নিং বডির দিকে,,হাওড় বার্তা 

হাওড় বার্তা ডেস্কঃ
  • সংবাদ প্রকাশ সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১
  • ৬১৯ বার পড়া হয়েছে

 

-সাতক্ষীরা জেলার তালা আলিয়া (ফাযিল) মাদ্রাসার মৌলভী (আরবি) ও উপাধ্যক্ষ পদে এজেডএম আবু বকর সিদ্দীকি ও আওরঙ্গজেব হোসেন সহকারী মৌলভী (আরবি) ও আরবি প্রভাষক পদে চাকরি এবং সরকারি কোষাগার থেকে বেতন উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া বর্তমান মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি সরদার জাকির, সদস্য সরদার মশিয়ার, সদস্য সরদার মোশারফের ইন্ধনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করে এমপিওভুক্তির তালিকায় আসারও অভিযোগ পাওয়া গেছে এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক-শিক্ষাথীদের মধ্য দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, এজেডএম আবু বকর সিদ্দীক তালা ফাযিল মাদ্রারাসায় সহকারী মৌলভী পদে যোগদান করেন ২৭-০৮-১৯৮৯ তারিখে ও এমপিওভুক্ত হন ২৭-০৮-১৯৮৯ তারিখে, তার ইনডেক্স নং-৩৫৮২২১। এজেডএম আবু বকর সিদ্দীক ওই মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভী পদ থেকে উপাধ্যক্ষ পদে শুধু রেজুলেশনের মাধ্যমে পদায়নের ভিত্তিতে যোগদান করেন ০৮-০৫-১৯৯৫ তারিখে কিন্তু কোন নিয়োগবোর্ড করেননি, এবং তা বৈধতার জন্য পত্রিকায় ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পত্রিকায় ‘নিয়োগ বৈধকরণ’ বিজ্ঞপ্তি দেয়। সম্প্রতি তিনি বাঁচার জন্য জাল-জালিয়াতি করে একটি নম্বরপত্র বানিয়েছেন।
সেখানে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শ:আ:আ: সরকারি মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়, অধ্যক্ষ নাংলা পিএসজে ফাযিল মাদ্রারাসা, অধ্যক্ষ তালা সরকারি কলেজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। ২৪-১০-১৯৯৫ এর জনবলের পূর্বে আলিম স্তরের কোন উপাধ্যক্ষ পদ ছিল না। তাহলে কোন পরিপত্র বা জনবল অনুযায়ী নিয়োগ হয়েছে? আবার ‘এজেডএম আবু বকর সিদ্দীক’ সহকারী মৌলভী পদের ইনডেক্সে প্রভাষক হিসেবে এমপিওভুক্ত হন ০১-০৯-১৯৯৯ তারিখে কোন প্রকার নিয়োগবোর্ড ছাড়াই।
বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার তালা আলিয়া মাদ্রারাসার অধ্যক্ষ সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার কাছে অফিসে উক্ত শিক্ষকের কোন নিয়োগ ফাইল নেই ও উপাধ্যক্ষ সাহেবের নিকট জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান।২৪-১০-১৯৯৫ এর জনবল এবং ০৪-০২-২০১০ এর জনবল অনুযায়ী আলিম মাদ্রারাসায় কোন উপাধ্যক্ষ পদ ছিল না। পরবর্তীতে ১৯-০৭-২০১৮ এর জনবল এর ০৬.১ খ ধারা অনুযায়ী আলিম স্তরে উপাধ্যক্ষ পদ সৃষ্টি হওয়ায় উক্ত পদে লোক নিয়োগের জন্য উক্ত জনবলের পরিশিষ্ট-‘ঘ’ এর ক্রমিক নং ১০ধারা অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ০৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ প্রভাষক হিসেবে (আরবি বিষয়সমূহে) মোট ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন তারপর (বিধিমোতাবেক নিয়োগবোর্ড এর মাধ্যমে নিয়োগ হতে হবে) অথচ উক্ত ‘এজেডএম আবু বকর সিদ্দীক’ এর ক্ষেত্রে কোনটিই হয়নি।

এদিকে, আওরঙ্গজেব হোসেন (সহকারী মৌলভী ইনডেক্স নং-০৭৯১৩০) একই মাদ্রারাসার শিক্ষক এজেডএম আবু বকর সিদ্দীক, উপাধ্যক্ষ (কাম আরবি প্রভাষক, ইনডেক্স নং- ৩৫৮২২১) এর সহযোগিতায় অবৈধভাবে বেজুলেশান ও নিয়োগবোর্ড তৈরী করে আরবি প্রভাষক পদের ফাইল প্রস্তুত করেন মাদ্রারাসার সকল শিক্ষকদের অগচরে। পূর্বের অধ্যক্ষ সামছুর রহমানরে আমলে একবার সমালোচিত হলে তাদের তৈরীকরা রেজুলেশান জব্দ করেন এবং অধ্যক্ষ সামছুর রহমান সাহেবের অবসরের পরে সেটা তারা উদ্ধার করে নেয়।রেজুলেশানে তখনকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রতি অধ্যক্ষ কাওছার উদ্দীনসহ সকল সদস্যর স্বাক্ষর জাল করা হয়। এভাবে আবু বকর সিদ্দীক ও আওরঙ্গজেব হোসেন বিভিন্ন ছলচাতুরি করে এডহক কমিটির সভাপতি সরদার জাকির ও সদস্য সরদার মশিয়ারের নেতৃত্বে বহাল তবিয়াতে ২টি পদে চাকরি করে যাচ্ছেন।এছাড়া আবু বকর এমপিওভুিক্তর তালিকায় আরবি প্রভাষক থাকলেও বর্তমানে হাজিরা খাতায় উপাধ্যক্ষর স্বাক্ষর করেন। অনরুপ আওরঙ্গজেব সহকারী মৌলভী পদে এমপিওভুক্ত থাকলেও আরবি প্রভাষক হিসেবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। এরকম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তারা কিভাবে বহাল তবিয়াতে টিকে আছেন প্রশ্ন এখন জনমনে ? অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, আমি মৌলভী (প্রভাষক) হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেছিলাম ১৯৮৯ সালে। এখন উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছি। তবে বেতন না হওয়ার কারণে মৌলভী (প্রভাষক) বেতন উত্তোলন করে যাচ্ছি।অভিযুক্ত আওরঙ্গজেব বলেন, আমি মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুটি পদে কর্মরত আছি। তবে সহকারী মৌলভী হিসেবে বেতন পাচ্ছি। প্রভাষক হিসেবে বেতন পাইনা।মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটির সভাপতি সরদার জাকিরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি রিসিভ করেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, আবু বকর সিদ্দিকী হজুরের এখন ভাইস পিন্সিপাল তাই তার ইনডেক্স নং চেঞ্জ হবে।
আওরঙ্গজেব সহকারী মৌলভী হিসেবে কর্মরত আছেন সম্প্রতি প্রভাষক হিসেবে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন তবে কাগজ পত্রের ত্রুটির জন্য দাখিল হয়নি। এরা দুটি পদে দখল করে আছেন সেটি সত্য।
এবিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফজল মো: নুরল্লাহ জানান, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে বহু বছর ধরে গোজামিল ভাবে একপদে থেকে বেতন-ভাতা তোলে ও অন্য পদে নিয়োগ হয়ে থাকে। বড় পদে বেতন আসলে ছোট পদ থেকে পদত্যাগ করার একটা সংস্কৃতি চলে আসছে। এটা আইনগত ব্যাপার না,কমিটির সিদ্ধান্তের ব্যাপার, তাছাড়া কিছু নয়। সঠিক আইনের প্রণয়ন করলে এটা মূলত বৈধ পাওয়ার কথা না। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281