আবু খালেদ, বিশেষ প্রতিনিধি শান্তিগঞ্জ উপজেলা
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সরদপুর ব্রীজের পশ্চিম পাড়ে ব্রীজটির সংযোগ মুখে ডান পাশের ধসে হুমকির মুখে পড়েছে স্বাভাবিক যান চলাচল। ব্রীজের এ্যাপ্রোচ দ্রুত সংস্কার না করা হলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আংশকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঠিকাদারের মাধ্যমে গত ২ মাস পূর্বে ব্রীজটির পশ্চিম পাড়ের এ্যাপ্রোচ মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হয়। সংস্কারের এক মাসের মধ্যেই আবারও এ্যাপ্রোচ নিজের দিকে ধসে যায় । সদরপুর ব্রীজটির এ্যাপ্রোচ দ্রুত সংস্কার না করা হলে যে কোন মুহূর্তে ভাল অংশটুকুও ধসে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ ও বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী সহ মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়ী চালক সহ সাধারণ যাত্রীরা।
সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সদরপুর ব্রীজ দেখতে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সরদপুর ব্রীজের পশ্চিম পাড়ের বেশ অর্ধেক সড়ক ভেঙ্গে ব্রীজটির সদরপুর খালে দিকে দেবে গেছে। এতে করে ব্রীজের একপাশ দিয়ে চলাচল করছে সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন সহ সাধারণ লোকজন। ব্রিজটি দিয়ে দিনের বেলায় স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করলেও রাতের বেলায় যেকোন ধরণের দুর্ঘটনার আতঙ্কে চলাচলকারী যানবাহন ও লোকজন।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ দায়সাড়া ভাবে ব্রিজটির ভাঙ্গা অংশে বস্তা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা ও রাতে যানবাহনের সর্তকতার জন্য সিগনাল লাইট স্থাপন করে দিলেও ব্রীজটির ভাঙ্গা অংশটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই ।
প্রতিদিন প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসা যাওয়া করে থাকেন।
এক বাস চালক বলেন, আমি প্রতিদিন সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ ৪ বার যাত্রীবাহি বাস নিয়ে যাতায়াত করে থাকি। সদরপুর ব্রীজটির পশ্চিম প্রান্তের অংশটি বেশী ঝুঁকিপূর্ণ। বাকী অংশ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ঐ অংশটুকুও ধসে যেতে পারে। তাই বিষয়টি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্রীজটির ইতিপূর্বে স্টিলের পিলার বসিয়ে মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে দেবে গেছে। এ বিষয়ে আমরা সংশি¬ষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। সপ্তাহের মধ্যে পরিদর্শন টিম আসবে। আশা করছি জায়গাটি দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।