রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
১১ বছর স্বাস্থ্য সহকারী পদে কাজ করেও স্বাস্থ্য সহকারী হতে পারেননি ২১ জন যুবক।তীব্র তাপদাহ: ঘাম, প্রখর রোদ উপেক্ষা করেও ফসলের মাঠে কৃষকর কৃষাণী।জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।সুনামগঞ্জে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবীতে কর্মসূচী। গণধর্ষণের ধামাচাঁপা: কিশোরীকে ১১দিন পর উদ্ধার করেও হয়নি মামলা। কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ -!!সিলেট বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ ওসি ছাতক থানার শাহ আলম-!!নাসিরনগরে” সর্বজনীন পেনশন স্কিম” এর উদ্বুদ্ধকরণ সভা। হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত শতাধিক -!!জগন্নাথপুরে বাড়ি দখলের অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে-!!

মনিরামপুর বেকারিতে আগুন,১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

আবদুল্লাহ আল মামুন যশোর জেলা প্রতিনিধি

মণিরামপুরে ‘বরকত বেকারি’ নামে একটি রুটির কারখানা পুড়ে ছাই হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার টেংরামারী বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে রাত চারটার দিকে মণিরামপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ফায়ার সার্ভিসের দল আসার আগে পুরো কারখানাটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত নিয়ে উপস্থিত কোনো মতামত জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তবে বেকারির চুলার আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেকারির ভিতরে চারটি গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। বেকারির কারিগর দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আমরা কাজ শেষ করে বাড়ি গিয়েছি। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাজারের নৈশ প্রহরী আগুন লাগার খবর দেন।
কারখানার মালিক রাহুল হোসেন বলেন, সোমবার দিনের বেলায় ৮০ হাজার টাকার মালামাল আনিয়েছি। ক্যাশে ৫৭ হাজার টাকা রাখা ছিলো। বিস্কুট ও কেক তৈরির জন্য কয়েকদিন আগে ৮ লাখ টাকায় একটি ওভেন মেশিন আনা হয়েছিলো। একটা জেনারেটর, দুটি রুটি তৈরির মেশিনসহ সবকিছু পুড়ে ১৫-১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
টেংরামারী বাজারের নৈশ প্রহরী আবুল হোসেন বলেন, রাত ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে বেকারির টিনের চালে আগুন দেখতে পাই। তখন চিৎকার দিলে সবাই এগিয়ে আসে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সেবাপ্রাপ্তি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। খবর পাওয়ার পরও ফায়ার সার্ভিস দেরি করায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

টেংরামারী বাজার কমিটির সভাপতি শাহ আলম বলেন, রাত সাড়ে তিনটায় খবর পেয়ে আমি ৯৯৯ নম্বরে কল করে আগুন লাগার কথা বলি। তারও আধা ঘণ্টা পরে ফায়ার সার্ভিসের লোক এসেছিলো। তারা আগে আসলে এত ক্ষতি হতো না।

ইউসুফ আলী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আগুনের তীব্রতা ভয়ানক ছিলো। ফায়ার সার্ভিসের অফিস থেকে ঘটনাস্থলে আসতে ৫-৭ মিনিটের পথ। তারা আসতে অনেক দেরি করে ফেলেছে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগে বেকারির সব পুড়ে গেছে।তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দেরি দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হচ্ছিলো আগুনে পুরো বাজার পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।

মণিরামপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাস বলেন, আমাদের টিম প্রস্তুত ছিলো না। খবর পেয়ে সবাইকে প্রস্তুত করে আসতে একটু দেরি হয়েছে।তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। আগুন লাগার সূত্রপাত উপস্থিত অনুমান করা যায়নি। তবে কাঠের চুলা বা বৈদ্যুতিক শক সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281