শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সুনামগঞ্জে রিক্সা চালক ও হতদরিদ্রদের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ।সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা ওয়াকিফুর রহমান আর নেই-!!ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য হুমকি। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার জুয়ার উঠেছে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকেরআবারও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে চান এড. আবুল হোসেন ১১ বছর স্বাস্থ্য সহকারী পদে কাজ করেও স্বাস্থ্য সহকারী হতে পারেননি ২১ জন যুবক।তীব্র তাপদাহ: ঘাম, প্রখর রোদ উপেক্ষা করেও ফসলের মাঠে কৃষকর কৃষাণী।জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।সুনামগঞ্জে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবীতে কর্মসূচী। গণধর্ষণের ধামাচাঁপা: কিশোরীকে ১১দিন পর উদ্ধার করেও হয়নি মামলা। 

অটো রাইসমিলে সংযোগ পেতে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি!

বিশেষ প্রতিনিধি :
  • সংবাদ প্রকাশ শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ট্রান্সফরমার পরিবর্তন ও দুই তারের চারটি খুঁটি টানার জন্য ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক রাইসমিল মালিক। পিডিবির নিয়মানুযায়ী, আবেদনের ২৮ দিনের মধ্যে সংযোগ প্রদানের নিয়ম থাকলেও আজ অবধি বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি রাইসমিল মালিক।

তবে এই সময়ের মধ্যে রাইস মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাইসমিল মালিক চঞ্চল বিহারী চাকমা। গত ২৩ মে পিডিবির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী চঞ্চল বিহারী চাকমা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জুরাছড়ি অটো রাইচ মিলের মালিক চঞ্চল বিহারী চাকমা ৫০ হাজার কিলোওয়ার্ড বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন গত ১৪ মার্চ। আবেদনের দুই মাসের অধিক সময় পর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল নতুন সংযোগ ও ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করে চারটি খুটি টানার লক্ষে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। যা চঞ্চল বিহারী চাকমার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। আবেদনের পর এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় রাইসমিলটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে খাদ্য বিভাগকে অবহিত করার প্রেক্ষিতে কৃষকদের স্বার্থে এবং সরকারের আর্থিক সাশ্রয় বিবেচনা করে জুরাছড়ি এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী বরাবরে রাইচ মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য লিখিতভাবে সুপারিশ করেন। উপরন্তু সুপারিশের পরও তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এতে করে আমি হয়রানির শিকার হয়ে আসছি। এই লিখিত অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য, জেলাপ্রশাসক, দুদকের উপপরিচালক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জুরাছড়ির ইউএনও বরাবরে।

শুধু জুরাছড়ির চঞ্চল বিহারী চাকমাই নয় বিদ্যুৎ বিভাগ এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক গ্রাহক। টাকার বিনিময় ছাড়া সেবা পান না গ্রাহকরা এমন অভিযোগ অনেক। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা চাকরিতে যেন ‘সোনার হরিণে’ পরিণত হয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘জন হয়রানী ও দুর্নীতি’র অভিযোগে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবরে। সেই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের সীমাহীন হয়রানি ও পদে পদে দুর্নীতি কারণে রাঙ্গামাটি এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। বাসা-বাড়িতে প্রতিটি বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে চরম হয়রানী করে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান সংযোগের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে প্রকাশ্যে টাকা দাবি করে। তদন্ত কিংবা শুনানি করলে তার বিরুদ্ধে শতশত মানুষ সাক্ষী দিবে।

বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে নতুন সিঙ্গেল ফেজ বাসাবাড়িতে ৭দিন, থ্রি ফেজ ২৮ দিনের সংযোগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আবেদনের সাতদিনের মধ্যে সিঙ্গেল ফেজ বাসাবাড়িতে, থ্রি ফেজ আবেদনের ২৮ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের জানানোর নিয়ম রয়েছে। তবে রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ অফিসে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সরকারি নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। উপরন্তু অর্থ আদায় ছাড়া নতুন সংযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ আবেদনকারীদের।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জুরাছড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল বলেন, জুরাছড়ি অটোরাইচ মিলের জন্য চঞ্চল বিহারী চাকমা ৫০ কিলোওয়াড আবেদন করেন। সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুলজ্জমান শীতলবাবুসহ সরেজমিনে গিয়ে দেখি অটো রাইচ মিলে বিদ্যুৎ প্রয়োজন ৮০ কিলো। তাই নোট দিয়েছি নিবার্হী প্রকৌশলী বরাবরে। তিনি লিখিত আকারে জবাব দেন।

চঞ্চল বিহারী চাকমার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করার বিষয়টি অস্বীকার করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল। জুরাছড়ির দায়িত্বে কোন প্রকৌশলী আছেন?- এই প্রশ্ন করলে তিনি উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল নিজে ও সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুমান শীতল দুইজনে এই সাইটে দেখেন বলে জানান।

এদিকে রাইসমিল মালিক চঞ্চল বিহারী চাকমা জানান, তিনি আবেদন করেছেন মার্চ মাসে। ২৮ দিনের মধ্যে ৫০ কিলো সংযোগ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সরওয়ার কামাল ৫ লাখ টাকা দাবি করে তালবাহানা করছে আজ ৫ মাস। রাজস্থলী থেকে নিয়ে আসা পুরাতন অটোমিলের মটর ওখানে ৫০ কিলোতে চলতে পারলে জুরাছড়িতে চলবে না কেন?

জুরাছড়ি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন চাকমা জানান, সরকারি স্বার্থে খাদ্য মজুদ করার জন্য সংযোগ দিতে সুপারিশ করেছিলাম। এখন ট্রান্সফারমার নষ্ট হওয়ায় এলাকাবাসীর মাধ্যমে টাকা দাবি করার জনশ্রুতি আছে।

পিডিবির রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের কাছে এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন সব বৈধভাবে হচ্ছে,যা জানতে চান লিখিতভাবে জানান।

এদিকে জুরাছড়ি চঞ্চল বিহারী চাকমার অটোরাইস মিলে ২৮ দিনের মধ্যে সংযোগ না দিয়ে দীর্ঘ তিনমাস পর উল্টো টাকা দাবির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ রাঙ্গামাটি অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন বলেন, চঞ্চল বিহারীর প্রধান প্রকৌশলীর কাছে দেয়া অভিযোগের কপি পেয়েছি। তিনিও আমার কাছে আসছিল। তবে নিবার্হী প্রকৌশলী জানায় ৮০ কিলোর জন্য বিদ্যুৎ লোড নিবে না।

নিবার্হী প্রকৌশলী বক্তব্য না দেয়া প্রসঙ্গে বলেন আপনি যা জানতে চান লিখিত ভাবে জানান, তাই প্রতিবেদক তথ্য অধিকার আইনে ‘ক’ ফরমে আবেদন করেন ৫ জুলাই। প্রধান প্রকৌশলী মুঠোফোনে জানানো হলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান, ইতিমধ্য দুইজন সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল আলম ও আবুল হাসেমকে বদলী করা হয়। আবুল হাসেম রাঙামাটি থেকে না গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে লোড বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে চার শতাধিক মিটার পরিবর্তন কথা বলে মামলার মানিকছড়ি,কুতুবছড়ি ঘিলাছড়ি সাপছড়ি গ্ৰাহক হয়রানী সীমা নেই।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281